অবশেষে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দায়িত্ব নিয়েই জাতীয় দলের পুলে সৌম্য সরকারের নাম না দেখে বিস্মিত হন তিনি। ‘সৌম্য কেন পুলে নেই।’ নির্বাচকদের কাছে এমন প্রশ্ন করেছিলেন হাথুরু। বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশাররা বাঁহাতি এ ব্যাটারকে না রাখার অনেক কারণ তুলে ধরেছিলেন।
সব কিছু শোনার পর কোচের মুখ থেকে আক্ষেপ মেশানো একটি লাইন বেরিয়ে এসেছিল- ‘হি ইজ এ গুড প্লেয়ার’। প্রতি উত্তরে নির্বাচকরা বলছিলেন, ‘আপনার রেখে যাওয়া সৌম্য নেই। সে এখন ছায়া হয়ে আছে।’
জাতীয় দলের টানা খেলা থাকায় কোচের ‘সৌম্য কই’ প্রশ্নে একটু ছায়া পড়েছিল। তবে কোচের মাথায় ঠিকই ছিলেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। ‘ছায়া সৌম্য’কে তো তিনি জাতীয় দলে চাইতে পারেন না। তাকে ফেরাতে হবে, দিতে হবে ফেরার উপলক্ষ্য। ওই উপলক্ষ্যই খুঁজছিলেন হাথুরুসিংহে।
ইমার্জিং এশিয়া কাপ কোচের সামনে সেই সুযোগ এনে দেয়। জাতীয় দলের প্রধান কোচের চাওয়াতে তাই নির্বাচকরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে সৌম্যকে ইমার্জিং এশিয়া কাপের দলে নিয়েছেন। সৌম্যকে ‘লাইফলাইন’ দিয়েছেন টাইগার কোচ।
আগামী ১৪ থেকে ২৩ জুন শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্টে ভালো করলে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে জায়গা মিলে যেতে পারে সৌম্যর। কারণ কোচ নাকি তাকে বিকল্প মিডলঅর্ডার ব্যাটার ভেবে রেখেছেন। নির্বাচকদের একজন তেমনটাই জানিয়েছেন।
তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাসের বিকল্প ওপেনারের জায়গা খালি আছে এখনও। সৌম্য ইস্যুতে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কোচ, নির্বাচকদের এমন অভিযোগও কানে তুলছেন না হাথুরু। প্রিয় শিষ্যর জন্য এটুকু ঝুঁকি নিতেই পারেন তিনি। এতে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতেও পারেন সৌম্য। সেজন্যই জাতীয় দলের অনুশীলনে ডাক পেয়েছিলেন তিনি।